আজ থেকে ৫০ বছর আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আজকের বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। কৃষি, ব্যাংক-বিমা, বিদ্যুৎ-যোগাযোগ, সব বিষয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দিয়ে গেছেন তিনি।
বুধবার (১১ আগস্ট) ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন: শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এই আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আরও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে সরকার।
দেশে এখনও ‘লাল ফিতার’ দৌরাত্ম্য রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা হয়তো সারা জীবনই থাকবে। তবে কিছুটা হয়তো কমিয়ে আনা যাবে।’
অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরবর্তী বাস্তবতায় পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া কলকারখানা জাতীয়করণ করেছেন, কিন্তু দেশ স্থিতিশীল হওয়ার পরে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যমূলক অর্থনীতি গঠন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য- এই পাঁচ মৌলিক অধিকারের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার আগেই তিনি বলেছিলেন, জাল যার জলা তার। ছাত্ররা শিক্ষা পাবে, তার ফলে চাকরি পাবে।
সেমিনারে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।