বাংলাদেশের আকাশে সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
বুধবার (১১ আগস্ট) শুরু হচ্ছে মহররম মাস ও নতুন বছর ১৪৪৩ হিজরি।
আগামী ২০ আগস্ট শুক্রবার (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় ধর্ম সচিব জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪৩ সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। বুধবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২০ আগস্ট (১০ মহররম) শুক্রবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়ারা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকে।
কারবালা প্রান্তরে হজরত মুহাম্মদের (স.) দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেনের (রা.) শাহাদাতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত আমাদের দেশে আশুরা পরিচিত। তবে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা আরও কিছু তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আশুরার রোজা (আশুরার দিন এবং আগে বা পরে একদিন) রাখার বিষয়ে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে হাদিসে।
আশুরার দিনে ফেরাউনের হাত থেকে নবী মুসা (আ.) ও তার অনুসারীদের মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর কোনো ঘটনা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। আশুরার দিনে হজরত আদমের (আ.) তাওবা কবুল, মহাপ্লাবনের পর নূহের (আ.) নৌকা জুদি পর্বতের ওপর থামা ও ঈসার (আ.) জন্মগ্রহণ করার কথা অনির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো কোনো সাহাবি-তাবিই থেকে বর্ণিত।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (অতিরিক্ত সচিব), প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনূর মিয়া, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইলিয়াস মেহেদী, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক মুহ. আছাদুর রহমান, মাদরাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মো. আলমগীর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লা ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শোলাকিয়া মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার সালেহি উপস্থিত ছিলেন।