পিচ ঢালাইয়ের কাজ (বিটুমিনের কার্পেটিং) চলছে স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতুর স্প্যানের উপরের সড়কে। ৪ ইঞ্চি পুরু পিচ ঢালাই দেওয়া হচ্ছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর সড়কে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের স্প্যানের উপরের সড়কপথে পিচ ঢালাইয়ের কাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতুর কাজ শেষের পথে এখন, সড়কপথে পিচ ঢালাই কাজ শুরু হলো। প্রথম দিনে সেতুর ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ অংশের পিচ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলেই সেতু দিয়ে গাড়ি চলতে পারবে। ৬০ মিটার যে কার্পেটিং শুরু হয়েছে এটাকে ট্রায়াল বলা যায়। মূলত অ্যাসফল্ট ও বিটুমিনের কার্পেটিং দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে পুরোদমে কার্পেটিং শুরু হবে।
পদ্মাসেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে কার্পেটিং করতে সাধারণত এক সপ্তাহ সময় লাগে। কিন্তু অন্য সড়ক থেকে সেতুর উপরের কার্পেটিং সম্পূর্ণ আলাদা। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কার্পেটিং করা হচ্ছে। অক্টোবর থেকে ফুল স্পিডে কার্পেটিং শুরু করা হলে পুরো সেতু কার্পেটিং করতে হয়ে তিন মাস সময় লাগবে।
এরপর সেতু সড়কে প্রয়োজনীয় সাইন ও রোড মার্কিং স্থাপন এবং গতিসীমা বেঁধে দেওয়ার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। ২০২২ সালের জুন মাসে উদ্বোধন করা হবে সেতু।
৩০ জুন পর্যন্ত পদ্মাসেতুর কাজের ৯৪ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। পদ্মাসেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ।
পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রথম দিনে মঙ্গলবার সেতুর ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ অংশের পিচ ঢালাই কাজ করা হয়েছে। তবে ফুল স্পিডে কাজ শুরু হবে অক্টোবর মাস থেকে। এর পরে অন্য কাজ সম্পন্ন করে জুন মাসে সেতু উদ্বোধন করা হবে।
এর আগে গত ২০ জুলাই সেতুর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়। সেতুতে বসানো হয়েছে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।