আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে।
গুলশানা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি টিম। সে সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, চাকু, বৈদেশিক মুদ্রা, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন আইপি টেলিভিশন জয়যাত্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতিবহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
নামের সঙ্গে লীগ যুক্ত করে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগের অনুমোদনহীন একটি সংগঠনের সভাপতি পদে নাম আসার পর তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয় দলটির মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি।