চট্রগ্রামে বিএনপির বুধবারের জনসমাবেশে উত্তাল জনস্রোত ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘হুমকি ধামকি দিয়ে চট্টগ্রামে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না।’
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রিজভী। বুধবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
রিজভী দাবি করেন, ‘বর্তমান অবস্থা থেকে মনে হয় তৃণমূলে উত্থান শুরু হয়েছে। আগামীকালও বিএনপির সমাবেশে অনাহারে অর্ধাহারে থাকা মানুষ, মলিন চেহারার মানুষের উপস্থিতি ব্যাপক হারে হবে। এছাড়া সাধারণ মানুষ, সর্বস্তরের মানুষ জমায়েত হবে।’
বিএনপি নেতার অভিযোগ, ‘চট্টগ্রাম যখন উৎসবমুখর, তখন ফ্যাসিবাদের যারা অনুসারী, ফ্যাসিবাদের ইন্সট্রুমেন্ট যারা, তারা চেষ্টা করছে যেন সমাবেশে লোক কম হয়। তারা চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর-দক্ষিণ এবং বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে, যাতে তারা সমাবেশে অংশগ্রহণ না করে। তাদের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে।’
রিজভী বলেন, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি একমাত্র শেখ হাসিনার আমলেই সম্ভব। তারা সবসময় এই ধরনের কাজ করে আসছে। কিন্তু জনগণের যে উত্তাল স্রোত সেই স্রোতকে হুমকি দিয়ে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আটকাতে পারেনি। প্রতিটি জনসভায় এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায়ও তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই বাধা উপেক্ষা করে জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন লাখো মানুষ। পুলিশ প্রশাসন যতই বাধা দিক না কেন, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি এবং পরিবারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করুক না কেন, বাস মালিক শ্রমিকদের বেশি করে যাত্রী নিতে নিষেধ করুক না কেন, সবকিছু উপেক্ষা করে আগামীকালের জনসমাবেশে ব্যাপক হারে মানুষের উপস্থিতি হবে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘আগামীকাল চট্টগ্রামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের প্রশাসন যে গণবিরোধী আচরণ করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি তাদেরকে জোরালো কণ্ঠে বলতে চাই, এ ধরনের গণবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। আগামীকালের জনসভা জনস্বার্থের জনসভা। জনগণের দাবির জনসভা। সেই জনসভায় যারা আসতে ইচ্ছুক, তারা যেন ভালোভাবে আসতে পারে আপনারা বাধা দিবেন না। সেখানে যে ধরনের ঘটনার কথা শুনছি এরকম কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার সম্পূর্ণ দায় আপনাদেরকে বহন করতে হবে।’
এসময় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন উপস্থিত ছিলেন।