মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, যারা করোনা প্রতিরোধে জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, আবেদন-নিবেদনে কাজ না হলে, অর্ডিন্যান্স জারি করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। টিকাও নিতে হবে। এক্ষেত্রে খামখেয়ালির কোনও সুযোগ নেই। সরকার মনে করে, আইন দিয়ে সব কিছু হয় না। সচেতনতা দরকার। সরকার সেই চেষ্টাই করছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উসস্থিত ছিলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহার ও ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদের টিকা গ্রহণে উৎসাহ দিতে পাড়া- মহল্লায় সবার অংশগ্রহণে কমিটি করা হবে। যাদের কাজ হবে সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলেও কমিটি তা প্রতিহত করবে। কমিটিতে জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, কৃষক, যুবক সবাই থাকবেন। এত কিছুর পরেও, এত আবেদন- নিবেদনের পরেও যদি কেউ করোনা প্রতিরোধে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা প্রদর্শন করে, তাহলে অর্ডিন্যান্স জারি করে, তাদের শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা হবে।’
যেহেতু সংসদ অধিবেশন চলছে না, সেহেতু রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্স জারি করে শাস্তির বিষয়টি আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হাসপাতাল বা কেন্দ্রে দৌড়াতে হবে না। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ২-৫টি টিকা কেন্দ্র খোলা হবে। সংশ্লিষ্ট লোকজনই জনগণকে টিকা দিয়ে আসবে। রেজিস্ট্রেশন করে, এনআইডি কার্ড দেখিয়ে টিকা নেওয়া যাবে। যাদের এনআইডি নাই, তাদেরকেও বিশেষ পদ্ধতিতে টিকা দেবে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।’