স্বাধীনতা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সবাইকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠাতের দ্বিতীয় পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সবক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা হঠাৎ করেই আসেনি। এর পেছনে রয়েছে শোষণ, নির্যাতন ও বঞ্চনার দীর্ঘ হতিহাস। হাজার বছরেরও বেশি সময় শোষণ-বঞ্চনা, নির্যাতন-নিপীড়নের দুঃসহ পথ অতিক্রম করলেও বাংলা ভাষাভাষী এ জনপদের মানুষের কোনো স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র ছিল না।
এর আগে সেখান থেকেই জাতিকে মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত। এরপর ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হয়।