স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে চলে গেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।
সোমবার (৫ জুলাই) প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসা থেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে চলে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদীও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে প্রবেশ করেন ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা। বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও মন্ত্রীর বাসায় প্রবেশ করতে দেখা যায়।
হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মধ্যে এর আগে তিন দফা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সংগঠনটির প্রতিনিধি দল। সবগুলো বৈঠকেই ছিলেন মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদী।
হেফাজতে সূত্রে জানা গেছে, হেফাজতে ইসলামের কারাবন্দি নেতাদের ঈদুল আজহার আগে মুক্তি চাইতে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তারা।
একটি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে চিকিৎসার জন্য কঠোর লকডাউনের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিলেন তারা। যদিও গুঞ্জন ছিল, তাদের ঢাকায় আসার মূল উদ্দেশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা।হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে হেফাজতের উত্তপ্ত কাণ্ডের পর অন্তত অর্ধশতাধিক শীর্ষনেতা কারাগারে বন্দি। প্রায় তিন মাস হলেও বন্দি নেতাদের এখনো মুক্তি মেলেনি।