স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিস্ফোরণের পর সিদ্দিকবাজারের ওই ভবনের বেজমেন্ট ও নিচতলায় যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ ইমারতে পরিণত হয়েছে। ভবনের ওপরে চাপ পড়লে সেটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য স্টেবল (স্থিতিশীল) অবস্থা তৈরি করে এরপর অভিযান শুরু করা হবে।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণগুলোর কারণ খুঁজতে আপাতত বিদেশি কোনও বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিস এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত তৈরি করতে সক্ষম। এর জন্য বিদেশি কারও সহযোগিতার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, ঘটনাগুলো নিয়ে যথেষ্ট মতামত দেওয়ার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞরা আছেন। তারা ব্যর্থ হলে আমরা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দিতে পারি। তবে এ মুহূর্তে সেটার প্রয়োজন হবে না।
মন্ত্রী বলেন, কী কারণে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে। কেউ যেন ইমারতের অনুমোদন না নিয়ে ভবন নির্মাণ না করে। যারা অনুমতি না নিয়ে ভবন নির্মাণ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্তের ফলাফলে পক্ষপাতিত্বের কোনও সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত ফলাফল পক্ষপাতিত্ব হবে এমনটা আমরা ভাবতেও পারি না। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে কিনা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান আশ্বস্ত করেন যে তদন্ত শেষ হলে ফলাফল প্রকাশের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসময় সঙ্গে থাকা ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন উদ্ধার অভিযান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সঠিক নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা রাজউক এবং সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। এখন তারা বিষয়টি কতটা অনুসরণ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে। তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্ত শেষ হলেই বলা যাবে।