স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না রাখার আহ্বান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মার্কার কারণেই মারামারি হানাহানি ঘটে। আগামী নির্বাচনে যেন দলীয় প্রতীক রাখা না হয়, আমি সে আহ্বান রাখছি।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে ফতুল্লার উইজডমে সদর ও বন্দরের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম ওসমান বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটা হলে প্রতীক ও মনোনয়ন নিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা সুবিধে নেয়। তাদের অনেকেই এটাকে ব্যবসা হিসেবে নেয়। এ কারণে মেম্বারদের মতো প্রতীক বাদ দেওয়ার আহ্বান রাখবো। প্রতীক না থাকলে মানুষ শান্তিতে থাকবে। নিশ্চিন্তে থাকবেন। তখন মানুষ ভালো থাকবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন একটা খেলার মতো। খেলতে গেলে ল্যাং মারতে হয়। খেলা শেষ এখন আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। ১১ তারিখ নির্বাচনে যা হয়ে গেছে সেটা আর এখন আমরা ভাবতে চাই না। ১২ তারিখে আর সেটা ঘটবে না। যা হওয়ার হয়ে গেছে।
নারায়গঞ্জের এ এমপি বলেন, আমাদের আগামীতে একত্রে কাজ করতে হবে। এখন আর পেছনে ফেরার সময় নাই। নির্বাচনে যা ঘটেছে সেটা আর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাই না। সবাই যেন একত্রে কাজ করে। নির্বাচনে যারা জিতে গেছেন তাদের কাজ হবে যারা হেরে গেছেন তাদের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করা। কারণ সবাই এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, আমি প্রেস মিডিয়ার কাছে অনুরোধ করবো, আমরা যাতে শান্তিতে থাকতে পারি- সেভাবেই সংবাদ পরিবেশন করবেন। আমাদের বিগত দিনে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে করোনার কারণে। আমাদের সামনে সময় কম। এখন সবার সহযোগিতা ছাড়া এগোনো সম্ভব না।
এসময় নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার নব-নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।