সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীর জালালাবাদ মনজুর মৌলভীর দোকান এলাকার বেড়িবাঁধটি। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে পাশের ব্রিজের দুটি গার্ডারসহ মাঝের পিলারটি ভেসে যায়। এতে বালি দিয়ে সংস্কার করা বাঁধটির বেশিরভাগ অংশই পানিতে হারিয়ে যায়।
এর আগে ২০২০ সালের ১৭ জুন পাহাড়ি ঢলে বাঁধটি ভেঙে আশপাশের বেশকিছু বাড়িঘর তলিয়ে যায়। পরে ঢলের কবল থেকে এলাকা রক্ষায় কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধটি মেরামতে ১৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। সম্রাট কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটি মেরামতের দায়িত্ব পায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খরস্রোতা ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীর পাড়ে যেনতেন ভাবে নির্মিত হয়েছে কোয়ার্টার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বেড়িবাঁধ। বালি দিয়ে নির্মিত বাঁধের অধিকাংশই বৃষ্টিতে ধুয়ে রাস্তায় মিশে গেছে। বাঁধ থেকে নেমে আসা বালিতে একাকার রাস্তা।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান ও বাঁধ এলাকার মেম্বার ওসমান সরোয়ার ডিপো বলেন, বেড়িবাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। এটির সংস্কারে এলজিএসপির ফান্ড থেকে ২০২০ সালের শুরুতে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিষদ চেয়ারম্যান অজ্ঞাত কারণে তা মেরামত না করে টাকা ফেরত দেন। এর মাঝে গত বছর ভঙ্গুর বাঁধটি তলিয়ে গিয়ে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর বাঁধটি দ্রুত সংস্কারে বরাদ্দ দেয় পাউবো।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্রাট কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান আজাদের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হয়। তিনি কল রিসিভ করেননি।
একই ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের মুঠোফোনেও কল করা হয়। তিনিও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
পাউবোর কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, বাঁধ মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঢাকা থেকে একটি তদন্ত দল এসছিল। তারা মেপে দেখে যতটুকু কাজ করেছে ততটুকু বিল দেয়ার অনুমোদন দিয়ে যান। সে পরিমাণ টাকাই পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।