1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের মধ্যে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন, দফতর পেলেন নতুন দুই জন শপথ নিলেন তিন উপদেষ্টা পাসপোর্টের তিন পরিচালক এখন ‘টাকার কুমির’ ৪০০ কোটি টাকার মালিক যে পিয়ন  গুজব প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছে সরকার বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে: কাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন সৌদি যুবরাজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করবে সরকার: আসিফ নজরুল মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আকরামুল হক

সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

আফরিদ হাসান, প্রধান প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩০৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তার সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ সফর করে তিনি যে বিষয়টি অনুধাবন করেছেন তা হচ্ছে— সর্বাগ্রে প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, যা সাধ্যমতো তিনি করে চলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নড়াইলে মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত দেশের প্রথম ছয় লেনবিশিষ্ট মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু উদ্বোধনকালে ভাষণে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সেতু দুটি উদ্বোধনকালে বলেন, ‘নতুন উদ্বোধন হওয়া সেতু দুটি বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে ব্যাপকভাবে জোরদার করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যখনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন, তখনই জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন এবং আওয়ামী লীগ সবসময়ই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। এটাই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। পাশাপাশি দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার সরকারে এসেই যমুনা নদীর ওপর বহুমুখী সেতু নির্মাণ করে তার সরকার। এছাড়াও আরও অনেক সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে। যার মধ্যে রয়েছে—ধরলা সেতু, গাবখান সেতু, শিকারপুর ও দোয়ারিকা সেতু এবং ভৈরব নদ সেতু। সমগ্র বাংলাদেশকে একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আনাই ছিল তার সরকারের প্রচেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘এখন আমরা দাবি করতে পারি, দেশের সমগ্র এলাকার মাঝেই যেন যোগাযোগ স্থাপিত হয়, সেই কাজ আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিশ্বব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আজকের মধুমতি সেতু ও নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু দুটিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রথমে কালনা সেতু হিসেবে বর্তমান মধুমতি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও এটা যেহেতু মধুমতি নদীর ওপরে নির্মিত এবং মধুমতি নামটিও অনেক মিষ্টি, তাই এটার নাম মধুমতি সেতু রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার প্রতিবাদকারী নাসিম ওসমানের নামে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নামকরণ করেছেন। ইতোপূর্বে তার সরকার নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নয়নে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর আরও দুটি সেতু এবং মুক্তারপুর সেতু নির্মাণ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান।

সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন।

সেতু প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়।

শেখ হাসিনা তার সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘একের পর এক সেতু ও সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণের ফলে এখন মোংলা বন্দর আমাদের খুব কাছে এসে গেছে। সেই সঙ্গে আমাদের স্থলবন্দর বেনাপোল, ভোমরাসহ কুষ্টিয়া অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।’

এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে আমাদের এসব অবহেলিত অঞ্চল আরও উন্নত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের পথপরিক্রমায় তার সরকারের প্রচেষ্টা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হলে আমাদের চট্টগ্রাম এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর একটি আন্তর্জাতিক হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।’

তিনি এই সেতু দুটি নির্মাণে সহযোগিতার জন্য আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ জাপান এবং সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘জাতির পিতার যে স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার, ইনশাআল্লাহ আমরা সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ, সেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই এগিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সাশ্রয়ী হবার আহ্বান জানিয়ে সারা দেশে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে না রেখে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বই আজকে কষ্ট ভোগ করছে। সে জন্য আমাদের আবেদন থাকবে—আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই, মানুষের উন্নতি চাই।’

তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধে অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে বা অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যে অর্থ ব্যয় হয়, সে অর্থ সারা বিশ্বের শিশুদের জন্য ব্যয় করা হোক। তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা এবং উন্নত জীবনের জন্য ব্যয় করা হোক, সেটাই বিশ্ববাসীর কাছে আমি আহ্বান জানাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমরা সবাই মিলে নিরলস পরিশ্রম করে যাবো, এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews