ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন ও তার ভাই মো. আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি রাস্তা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক ওমর ফারুকসহ ৮ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন ও তার ভাই মো. আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি রাস্তা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ হওয়ার পর, বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
অভিযানকালে কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন ঢাকার বাইরে থাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তবে তার ভাই আসাদুজ্জামান আসাদের বক্তব্য গ্রহণ করেছে দুদক টিম। এছাড়া ওই জায়গায় নির্মাণাধীন লায়ন বিল্ডার্স এবং আগারগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কের নকশা ও কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের দাখিল করা হবে।
অন্যদিকে দুদকে আসা অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের কামাল সরণির (৬০ ফুট সড়ক) পশ্চিম আগারগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়কের প্রায় ৭০০ বর্গফুট বন্ধ করে প্লট তৈরি করা হয়েছে। যে প্লটে ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য ডেভেলপার কোম্পানি সাইন বোর্ডও দিয়েছে। অথচ সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, জামে মসজিদ সড়কটি সোজা কামাল সরণির সঙ্গে যুক্ত ছিল। সড়কটি বাঁক নেওয়ার পয়েন্ট থেকে সোজা কামাল সরণিতে যুক্ত হওয়া পর্যন্ত পুরো জায়গাটাই দখল করেছেন কাউন্সিলর ও তার ভাই। স্থানীয় কাউন্সিলররা আধা কাঠা জমির সঙ্গে রাস্তার জায়গা যুক্ত করে প্লটটি বড় করেন। যে রাস্তাটি দিয়ে মানুষ কামাল সরণিতে যাতায়াত করছে, নকশা অনুযায়ী সেটা ২০ ফুট চওড়া থাকার কথা। ওই রাস্তারও ১০ ফুট অংশ দখল করে প্লটটি আরও বড় করা হয়েছে। ফলে চলমান রাস্তাটির প্রশস্ততা কমে ১০ ফুট হয়েছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর ফোরকানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, দুদকের অভিযানের বিষয়ে জানেন না বলে জানান তিনি। অন্যদিকে রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে, যৌক্তিক কোন উত্তর না দিয়ে, বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। প্রতিবেদককে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবো।