সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ও এর অধীনে জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহে শূন্য পদ পুরণের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
করোনা মাহমারিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া থেমে থাকায় চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির পর এই নির্দেশনা দেওয়া হলো।
বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) প্রবেশকালে সর্বোচ্চ বয়সসীমা অতিক্রান্ত প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
‘এই অবস্থায়, বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) সরাসরি নিয়োগের শূন্য পদসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সব সিনিয়র সচিব, সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের সচিবকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকেও এই নির্দেশনার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের নিয়োগ স্থগিত ছিল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
চাকরি প্রার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তাদের বয়সে ২১ মাস ছাড় দেওয়ার ঘোষণা জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এ সিদ্ধান্তের ফলে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে যাদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ ছাড়িয়ে গেছে বা যাচ্ছে, তারা এই ছাড়ের সুবিধা পাবেন।