পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে আটকে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের লড়া গ্রামে বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ওই বাঁধটি খুলে দিতে দাবি জানান।
জানা যায়, ওই গ্রামের মজুমদার বাড়ি ও পাইকবাড়ির মধ্যবর্তী একটি সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে তাতে নৌকাসহ পানি চলাচল আটকে দিয়েছেন একই গ্রামের বাসিন্দা মধ্য লড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ পাইক ও তার ভাই নিতিশ পাইক। প্রভাব খাটিয়ে ওই খাল দখলের উদ্দেশে তা আটকে দিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। ওই খালের উপরে থাকা একটি লোহার পুল সংলগ্ন উত্তর পাশ থেকে বাঁশের পাইল ও মাটি দিয়ে ভরাট করে খাল আটকে দেওয়ার কাজ চলছে। তবে অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক ওই খালের জায়গা তাদের ২ ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমি বলে দাবি করেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরকারি রেকর্ডভুক্ত ওই খালে বাঁধ দেওয়ার ফলে ওই গ্রামের প্রায় এক হাজার একর কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। চলতি মৌসুমের আমন ধান চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শ্যামল লাল মজুমদার জানান, ওই খাল থেকে ওঠা পানি দিয়ে বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষসহ সকল কৃষি কাজ করা হয়। কিন্তু ওই খালটি স্থায়ীভাবে বাঁধ দিয়ে আটকে দেওয়ায় খাল সংলগ্ন জমিতে ইতোমধ্যে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আর বোরো মৌসুমে দেখা দিবে পানি সংকট।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে সেখানে ভূমি অফিসের লোকজন পাঠানো হয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থে খাল আটকানোর কোনো সুযোগ নাই। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।