নারীর ওপর নিপীড়নবিরোধী আন্দোলন চলছে। মেয়ে হিসেবে আপনার বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? মিডিয়াতে কাজের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য বা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন?
আমার বড় হওয়া একটি আরব দেশে। সেখানে ইভ টিজিং বা নারী নির্যাতনের জন্য দ্রুততম সময়ে কঠিন শাস্তি কার্যকর হয়। তাই সেখানকার পরিস্থিতি বেশ নিরাপদ। আমার মনে হয়, অনেক আগে থেকেই নারীদের যেকোনো নির্যাতনের বিষয়ে ভোকাল হওয়া উচিত ছিল। পরিবার বলেছে, ‘ওই রাস্তা দিয়ে গেলে বখাটেরা টিজ করে। তাহলে আর ঘর থেকে বের হওয়ার দরকার নেই।’ কী অদ্ভুত কথা! ঘর থেকে বের হওয়া আমাদের সবার অধিকার। প্রত্যেক মানুষকে পৃথিবীতে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে পাঠানো হয়েছে। কিছু হওয়ার জন্য, করার জন্য বা কোথাও ভূমিকা রাখার জন্য। এখন একজন মানুষ যদি ঘর থেকেই বের হতে না পারে, তাহলে সেই উদ্দেশ্য কীভাবে সফল হবে? মানুষ হিসেবে সবার সমান অধিকার। এখানে কোনো নারী–পুরুষ নেই। মানুষকে ছেলে বা মেয়ে হিসেবে কাউন্ট করা বন্ধ করতে হবে। চুপ থাকার সংস্কৃতিতে ফুলস্টপ টানতে হবে। আর এখন তো দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এখন আমাদের সরব হওয়া ছাড়া উপায় নেই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ছাড়া কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। আন্দোলন চলছে। সরকারও আইন পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলছে। একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আমার বিশ্বাস। আর ১০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। আমার সৌভাগ্য যে আমার কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি।