বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। এদের পরিচয়, এরা কেবলই সন্ত্রাসী।শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির ৬নং মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সহযোগিতায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা এবং তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এসময় মুম্বাই হামলায় নিহতদের স্মরণ করে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দোরাইস্বামী।“উপমহাদেশে জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাস দমন: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়” শীর্ষক এ আলোচনায় ভারতের হাইকমিশনার বলেন, মুম্বাই হামলা একটি প্রশিক্ষিত অপারেশন, যেখানে অস্ত্রশস্ত্র সুসজ্জিত করে ঠান্ডা মাথায় অপারেশনটি চালানো হয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল মুম্বাই বা ভারতে অবস্থানরত বিদেশিরা। অপারেশনটি সুপরিকল্পিতভাবে একটি সম্প্রদায় চালিয়েছিল।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছিল, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যে হামলা হয়েছিল, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে যে হামলা, ২০০১ সালে পহেলা বৈশাখে যে হামলা- এ সবগুলোরই একটা যোগসাজশ রয়েছে। প্রতিটি হামলাই একেকটি গণহত্যা সৃষ্টি করেছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাই হামলাও ভিন্ন কোনো ঘটনা নয়।কোনো শাস্তি কার্যকর না হওয়ায় একের পর এক এসব ঘটনা ঘটে চলেছে বলেও উল্লেখ করেন ভারতের হাইকমিশনার।
দোরাইস্বামী বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ সংকট নিরসনে ভারত-বাংলাদেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যতেও সুসম্পর্ক থাকবে, কারণ আমাদের অতীত সম্পর্ক রয়েছে, রক্তের সম্পর্কও রয়েছে। তাই একসঙ্গে কাজ করা আমাদের জন্য জরুরি।একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী সমাজকর্মী ও সাংসদ আরমা দত্ত ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ (অব.) প্রমুখ।