নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) আগুনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান-এমডিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। গ্রেফতারের নিশ্চিত করেছেন, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন আবুল হাসেম ও তার চার ছেলে হাসিব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীমও রয়েছেন। আর অন্য তিনজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহান শাহ আজাদ, হাসেম ফুড লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও এডমিন প্রধান সালাউদ্দিন।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ১৯। মামলায় এই আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা লোকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ফায়ার সার্ভিস বলেছে, ভবন নির্মাণে ত্রুটি রয়েছে। ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। আমরা মনে করি এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা সরাসরি হত্যা মামলা দায়ের করেছি। ইতোমধ্যে মালিক পক্ষ ও ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা আটজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, মরদেহগুলো থেকে ডিএনএর স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ যারা আছেন তাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি সবার ডিএনএ নমুনা কালেক্ট করেছি। শিগগিরই আমরা নমুনা পরীক্ষা করে মরদেহগুলো হস্তান্তর করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫২ প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।