সংলাপের নামে তামাশা করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকে জনগণের চোখে ধুলা দেওয়ার জন্য, জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তামাশা করছেন। রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তিনি সংলাপ ডাকাচ্ছেন। আল্টমেটলি যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিফলন ঘটবে। তারা একটা তামাশা করে যাচ্ছে।’
সোমবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীসহ সব কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বিএফইউজ যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অপজিশন কণ্ঠস্বরকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দেশের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় গায়ের জোরে বন্দি করে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। কিন্তু সেটাতে আর লাভ হবে না। দেশের মানুষ তো জেনে গেছে, আস্তে আস্তে বিশ্বের কাছে সরকারের বোরখা খুলতে শুরু করেছে।’
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, আপনার সরকারের বোরখা খোলার আগে পদত্যাগ করুন। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ দিন। রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দিন। তা না হলে যখন সবকিছু উন্মোচন হয়ে যাবে, তখন পালিয়েও নিজের ভুল আর ঢাকতে পারবেন না।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেল ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. বাকের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম, কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসেন, দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, সাংবাদিক নেতা ইকবাল মজুমদার তৌহিদ প্রমুখ।