করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপক্ষো করে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বসানো পশুর হাট বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার গোসাইরহাট উপজেলা সদরের দাসের জঙ্গল বাজারে বিশাল এই পশুর হাট বসে। উপচেপড়া ভিড়ের এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক ছিল না।
হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসিফ জানিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিকুর রহমান ও সজল বেপারী জানান, উপজেলার সর্ববৃহৎ এই পশুর হাট বসে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের নিষেধ থাকলেও গোসাইরহোট পশুরহাট বসেছিল। ফলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেয়।
তাই দুপুর ১টার দিকে তখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ডের সহযোগিতায় গরুর হাট ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং পশুর হাট বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোরবানির এই গরুর হাটে আসা মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছিল না। ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক ছিল না। ইজারাদের পক্ষ থেকে হাত ধোয়ার সাবান বা স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি। সামাজিক দূরত্বও মানছিল না কেউ।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসিফ বলেন, “সারা বাংলাদেশে গো-হাট বন্ধ। আমরা খামারিদের কথা মাথায় রেখে শুধুমাত্র স্থায়ী হাটগুলো চালু করার নির্দেশ করেছিলাম। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাট বন্ধ করে দিয়েছি।”
পরবর্তী হাট পরিচালনা করার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে আসার জন্য মাইকিং করতে বলা হয়েছে, বলেন ইউএনও।