রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া বাংলাদেশের কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার (১৭ জুলাই) উজবেকিস্তানের তাসখন্দে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
তাসখন্দে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর রাশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতার স্তর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশে দুটি পরমাণু প্রকল্প সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাঠানো বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়া, কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এসময় করোনার ভ্যাকসিনসহ নানা ইস্যু বিশেষত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেন। দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে মিয়ানমারকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে উৎসাহিত করবে তারা।
উল্লেখ্য, তাসখন্দে ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ১৪ জুলাই উজবেকিস্তান গেছেন ড. মোমেন।