রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞার নতুন প্যাকেজ নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। সিন্থেটিক রাবার ইস্যুতে বুধবার ইইউ’র ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে বসেছিলেন।
সিন্থেটিক রাবার একটি যৌগ; যা টায়ারের মতো পণ্যগুলোতে ব্যবহৃত হয়। এটি ইইউ’র একটি প্রধান আমদানি পণ্য। পলিটিকোর মতে, ইতালি ও জার্মানিসহ ইইউ’র বেশিরভাগ দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে এটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সন্দিহান। কেবল পোল্যান্ড আছে নিষিদ্ধের পক্ষে।
পলিটিকো বলছে, ২০২১ সালে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সিন্থেটিক রাবার রফতানি করেছে রাশিয়া। এরমধ্যে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সিন্থেটিক বিক্রি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে। প্রতিবাদে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ওপর নানা ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে। অন্যদিকে, গ্যাস রফতানি সীমিত করে তীব্র ঠান্ডায় ইউরোপকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা এখন অবশ্য প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা তাদের পক্ষে ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তির ওপর বিধিনিষেধসহ কোনও প্যাকেজ সমর্থন করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে হাঙ্গেরি। এর কারণ হিসেবে বলছে, মস্কোর সঙ্গে প্রাক-পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্প্রসারণের চুক্তি রয়েছে তাদের।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, ‘এ ধরনের একটি প্রস্তাবে স্পষ্টতই ভেটো দিতে হবে।’
নিষেধাজ্ঞার আসন্ন প্যাকেজ ২৪ ফেব্রুয়ারির আগে গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পলিটিকো বলছে, প্যাকেজটিতে রাশিয়ান বিমান শিল্প, ব্যাংক এবং তেল ট্যাঙ্কার বহরের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।