আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় দুটি স্থায়ী হাটসহ দুই সিটি করপোরেশনের এলাকায় ২১টি পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি হাট রয়েছে। এই হাটগুলোতে ঈদের দিনসহ তার আগের ৫ দিন চলবে পশু বেচাকেনা।
হাটগুলো পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়েছে ৪৬টি শর্ত। থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতও। এছাড়া অনলাইনেও পশু বেচাকেনা করা যাবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাটগুলো হচ্ছে— ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকলোনজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুত্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা, গোলাপবাগে ডিএসসিসি মার্কেটের পেছনের খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধুপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব সংলগ্ন আশ-পাশের খালি জায়গা ও লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। আর স্থায়ী হাটটি হচ্ছে সারুলিয়া পশুর হাট।
আর উত্তর সিটির ১০টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট হচ্ছে— বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাব নগর) ব্লক-ই সেকশন ৩ এর খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা, উত্তরখান মৈনারটেক শহীদনগর হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা, উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ, ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬, ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর হতে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পযন্ত খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদনগর) পশুর হাট, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুটম সংলগ্ন রাজধানী হাউজিং, স্বপ্নধারা হাউজিং ও বচিলা গর্ডেন সিটির খালি জায়গা ও ডিএনসিসির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ৩০০ সড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল লিমিটেডে ও যমুনা হাউজিং কোম্পানির ব্যক্তিগত মালিকানাধীন খালি জায়গা। স্থায়ী হাটিটি হচ্ছে গাবতলী পশুর হাট।
উত্তর সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানান, ‘আমাদের একটি স্থায়ী হাটসহ মোট ১০টি কোরবানি পশুরু হাট বসবে। এই হাটগুলো ঈদের দিনসহ তার আগের পাঁচ দিন বসবে। অর্থাৎ ১৭ জুলাই থেকে হাটে বেচাকেনা শুরু হবে। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে হবে। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতারা চাইলে অনলাইনেও পশু বেচাবিক্রি করতে পারবেন।’
হাটের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণ সিটি এলাকায় এবছর একটি স্থায়ী হাটসহ ১১টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। আমরা ইজারাদারদেরকে পশু বিক্রি করার জন্য ৫ দিন সময় দিয়েছি। যেহেতু আগামী ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আযজা উদযাপিত হবে, সেহেতু ১৭ জুলাই থেকে তারা পশু বেচাবিক্রি করতে পারবেন। আর ১৫ জুলাই থেকে পশুর হাটের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান, করোনাকালীন সময়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের জন্য আমরা মোট ৪৬টি শর্ত দিয়েছি। এই শর্তগুলো ইজারাদারসহ সবাইকে পালন করতে হবে। এ ছাড়া হাটের শৃঙ্খলা দেখভাল করার জন্য বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।