মৌলভীবাজার শহরের শ্রীমঙ্গল সড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শিশু ও নারীসহ ২১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ জুলাই) তাদের আটক করা হয়। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক জানান, আটক রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তারা ২০১৮ সালে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারত থেকে কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তারা কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ড আসেন। রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৭ শিশু, ৮ নারী ও ৬ জন পুরুষ রয়েছেন।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান ওসি মো. ইয়াছিনুল। এর আগে ২৮ জুন মৌলভীবাজার শহরের চুবরা এলাকা থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
অন্যদিকে, শনিবার সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল (মিরসরাই ইকোনমিক জোন) থেকে ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে পাঁচজন নারী, চারজন পুরুষ ও ১১টি শিশু রয়েছে বলে জানান জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী।
পুলিশ জানায়, আটক রোহিঙ্গারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ট্রলারে করে সমুদ্রপথে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে। মিরসরাই শিল্পাঞ্চলে নেমে তারা টেকনাফ যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
এ স্থান থেকে একইভাবে পালিয়ে আসা নারী-শিশু ও পুরুষসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছিল গত ১১ জুলাই। তার আগে গত ৩ জুলাই সন্দ্বীপ উপজেলার দক্ষিণ উরিরচর থেকে সাত রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় লোকজন।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি মো. নুর হোসেন মামুন বলেন, “শিল্পাঞ্চলের পশ্চিম পাশে সাগর তীরে নেমে রোহিঙ্গা গ্রুপটি হেঁটে আসছিল। সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাদের পথরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।”
এক পর্যায়ে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করার পর আনসার সদস্যরা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে থাকা মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য ভাসানচরে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে কয়েক দফায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরে আরও এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার।