নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে এখনো অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়ে গেছে। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও আমি সবাইকে নিয়ে এক টেবিলে বসতে পারি নাই। আমাদের অতীতে কিছু ভুল ছিল। এটা এখনো আমাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’
সাংসদ বলেন, সেলিম ওসমানের একটি বড় দোষ তিনি কান কথা শুনেন না। সেলিম ওসমানের চোখে পর্দা নাই। আমি সরাসরি কথা বলি। কান কথা আমি সহ্য করতে পারি না। আমি শত্রুকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছি।’
৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
সাংসদ বলেন, ‘আজকে এ অনুষ্ঠানে মেয়র আইভির আসার কথা ছিল। আমি আসবো গতকাল এটা শুনে অনেকেই আমাকে হাজার হাজার ফোন দেওয়া শুরু করে। প্রশ্ন আসে পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন উন্নীত হওয়ার পরেও আমরা কি মর্যাদা পাচ্ছি। মশার কামড়, রাস্তায় ময়লা এটা কি আমাদের মেয়রের দোষ? মেয়র যখন নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন, তখনই তার কোনো না কোনো দোষ বেরিয়ে যায়। মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যেই হোক, আমরা সবাই যদি সহযোগিতা না করি তাহলে কোনো উন্নয়ন সম্ভব হবে না।’
সেলিম ওসমান বলেন, আজকে আশা ছিল সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা এক টেবিলে বসবো। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করবো। আমার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেয়রের কাজের পার্থক্য রয়েছে। আমরা যদি আমাদের চাহিদা পত্র মোতাবেক কাজ করি তাহলে কোন সমস্যাই থাকবে না। আমি তো চাই একটেবিলে বসতে। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীকে অনুরোধ করবো ভয় পাওয়ার কিছু নাই, নার্ভাস হওয়ার কিছু নাই। আমরা হয়তো আবার এক টেবিলে বসবো।
ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপস্থিতি থাকার কথা থাকলেও তিনি হাজির হননি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় শ ম রেজাউল করিম।
উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, জেলা ইউনিটের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।