সরকার নির্ধারিত ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ ৭টি থেকে বাড়িয়ে ১৫টি করার সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা যেন তারা নির্বিঘ্নে পেতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রত্যেককে ডিজিটাল সনদ, স্মার্ট পরিচয় পত্র ও একটি মেডেল প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপেতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ ও ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার মুক্তিযুদ্ধ পদকের জন্য সাতটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করেছে। আমরা এই সংখ্যাটা বাড়াতে বলেছি। এই পদক ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাতে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে তাদেরকে স্মার্ট আইটি কার্ড, ডিজিটাল সনদ ও মেডেল দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে সকল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওঠানামার কষ্ট লাঘব করতে মন্ত্রণালয়কে কমপ্লেক্সে লিফট বা ক্যাপসুল লিফট স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বৈঠকে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত করতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ চালু করা হয়েছে। সাতটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে। এগুলো হচ্ছে- স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনে ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা, মুক্তিযুদ্ধ-ভিত্তিক চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, নাটক নির্মাণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ।
এ ছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য ক্ষেত্রে এ পদক দেওয়া যাবে। প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হবে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম সোনার পদকের সঙ্গে একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে।