দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও জামালপুরের মাদারগঞ্জ নৌ রুটে যমুনা নদীতে (সীট্রাক) ফেরী সার্ভিস চলাচল শুরু হয়েছে। এর ফলে বগুড়ার সাথে রাজধানীর দূরত্ব কমল ৮০ কিমি পথের। ঐতিহাসিক এই মহূর্তের স্বাক্ষী হতে দুই পারে হাজারো মানুষ সমেবেত হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুর ২ঃ৩০ মিনিটে জামথল ঘাট থেকে ফেরী নদী পার হয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার কালিতলা ঘাটে এসে পৌঁছে।
১২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের জামথল ঘাটে প্রধান অতিথি হিসেবে ফেরী সার্ভিস উদ্বোধন করেন।
এসময় জামালপুরের মাদারগঞ্জ-মেলানদহ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম ও বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেখানে এক সুধী সমাবেশে জামালপুর , বগুড়া জেলার ও মাদারগঞ্জ, সারিয়াকান্দি উপজেলার আওয়ামী লীগের নেত্ববৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয়রা জানায়, সারিয়াকান্দির কালিতলা ও মথুরাপাড়া খেয়াঘাট থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ওপারে মাদারগঞ্জ ও অন্যান্য এলাকায় যাতায়াত করেন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ নানা কারণে সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির প্রচেষ্টায় নৌপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই রুটে ফেরি চালু হলে বগুড়াসহ এ অঞ্চলের মানুষ, উৎপাদিত কৃষিপণ্য, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রীসহ অন্যান্য পণ্য স্বল্প সময় ও খরচে রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় নিতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু সেতু পথে যেতে না হওয়ায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ কমবে।
ফেরী ঘাটের ইজাদার জাহিদুর রহমান উজ্জল জানান, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জামথল থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি খেয়াঘাট রুটে ফেরি চালু হলে ২-৩ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে। এক ঘণ্টার এ রুটে চলাচলকারী সি-ট্রাকে ২০০ যাত্রী, ২-৩টি প্রাইভেট গাড়ি, ১৫টি মোটরসাইকেল পারাপার করা সম্ভব। এতে জনপ্রতি ভাড়া হবে ১০০ টাকা। ৪৫ মিনিটে যাত্রীরা নদী পার হতে পারবে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার সাথে বগুড়া জেলার যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হবে। ফেরী সার্ভিস চালু হওয়ার কারনে অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে ।