গত ১৭ অক্টোবর দ্যা এশিয়া মিরর নামক একটি অনলাইন পোর্টালে ‘মিরপুরে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিতে ৩৩ নেতা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আকরামুল হক। প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, তাকে জড়িয়ে মাহবুবুর রহমানের ডিস ব্যবসা দখলের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। ভিত্তিহীন, অনুমান ও অসৎ উদ্দেশ্য নির্ভর বলে তিনি মনে করেন। প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, এ ধরনের কােন ঘটনাই ঘটেনি। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত না করে মিথ্যা তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় তিনি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যা মোটেও কাম্য নয়। তিনি প্রতিবাদলিপিতে আরও উল্লেখ করেন, ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি ফিড অপারেটর হিসেবে আস্থা এবং সুনামের সঙ্গে ডিস ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। প্রকৃত বিষয় হলো যুবলীগের মাহবুব ১৯৯৮ সাল থেকে তার ফিড অপারেটর হিসেবে ডিস ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। তিনি পলাতক থাকায় তার অবর্তমানে তার ভাগিনারা উক্ত ব্যবসা পরিচালনা করছেন। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্যতা জানা যাবে। উল্লেখ্য, তিনি (আকরামুল হক) যেখানে সারা দেশে ক্যাবল অপারেটর হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন সে ক্ষেত্রে ফিড অপারেটর মাহবুবের ব্যবসা কেন দখল করে নিবেন? মূলত অপারেটর হিসেবে তার কাছ থেকে ফিড বরাদ্ধ নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন মাহবুব। উক্ত সংবাদের আরেক অংশে তার বাহিনী ভূমি দখলের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সর্বেব মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং কল্পনাপ্রসূত। তিনি বলেন, তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা কেউ জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। সুতরা জমি দখলের বিষয়টি ও অযৌক্তিক এবং অসত্য। পরিবেশিত সংবাদটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে বলে আকরামুল হক মনে করেন। শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মীদের বিতর্কিত করা এবং নিজেদের ঐক্য বিনষ্ট করাই সংবাদের মূল লক্ষ্য বলে তার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। তিনি উক্ত সংবাদ প্রত্যাহারেরও অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন বিএনপির কোন নেতাকর্মী এহেন ঘটনার সঙ্গে আদৌ জড়িত নয়। তিনি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।