1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসি থেকে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে বিল পাস আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার দুর্গাপূজায় মণ্ডপ আর না বাড়ানোর অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রংপুরে ১২৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হতে পারে তারেক-জোবাইদাকে, আশঙ্কা বিএনপির বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেবো না, তবে জনগণের ক্ষতি করলে রেহাই নয়: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল সংসদে

মদ আটকের পর চট্টগ্রামে নজরদারিতে আছে ১৫০ কনটেইনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২
  • ৬৮

গত তিন দিনে মদভর্তি পাঁচটি কনটেইনার আটকের পর নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমসের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দর অভ্যন্তরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্যের আরও চালান থাকতে পারে। যেগুলোতে মদ, সিগারেট কিংবা অন্যান্য অধিক শুল্কের পণ্য থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক এমন ১৫০টি কনটেইনার নজরদারিতে রেখেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সন্দেহের আওতায় থাকা এসব কনটেইনার শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, ‘মদভর্তি পাঁচটি কনটেইনার আটকের পর বন্দরে দেড় শতাধিক কনটেইনার নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সেগুলো শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হবে।’

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ‘বন্দরে থাকা অন্তত দেড়শ কনটেইনার ‘লক’ করা হয়েছে। এসব কনটেইনার আমদানিকারকদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে জবাব আসার পর এগুলো শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হবে।’ 

চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে এবং বাইরে থেকে গত তিন দিনে আটক হয় পাঁচটি তরল বোতলজাত মদভর্তি কনটেইনারের চালান। যেগুলো সুতা, মেশিনারি এবং শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল। এ পাঁচটি চালানে ৭৭ হাজার লিটার মদ আনা হয়। ৫৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল। 

কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, কাগজপত্র জালিয়াতি এবং রাজস্ব কর্মকর্তার আইডি হ্যাক করে মদভর্তি কনটেইনার খালাস করা হয়েছিল। এর সঙ্গে আমদানিকারকের পাশাপাশি অসাধু একটি চক্র জড়িত রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

আটক হওয়া পাঁচ কনটেইনার মদের চালানের মধ্যে সর্বশেষ ২৫ জুলাই দুই কনটেইনারে দুই হাজার ৮৫৮টি কার্টনে ৩১ হাজার ৪৯২.৫ লিটার মদ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চালান দুটিতে ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা হয়। এর মধ্যে একটি কনটেইনারে ৫৩টি বস্তায় ৫৩ হাজার প্যাকেটে ১০ লাখ ৬০ হাজার শলাকা বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়। মোংলা ইপিজেডের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ এবং নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসব মদ ও সিগারেট আমদানি করেছিল।

এর আগের দিন ২৪ জুলাই আটক হওয়া এক কনটেইনার মদের চালানে এক হাজার ৪৩০টি কার্টনে ১৫ হাজার ২০৪ লিটার মদ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য দুই কোটি তিন লাখ টাকা। এ চালানে ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমদানিকারক ছিল ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিলেন নগরীর ডবলমুরিং থানার ৬৬৯ কেবি দোভাষ লেনের জাফর আহমেদ।

২২ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া মদের দুটি চালান আটক করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। ওই দিন রাত ২টার দিকে চালান দুটি র‌্যাবের সহায়তা নিয়ে আটক করা হয়। চালান দুটিতে এক হাজার ৩৩০ কার্টনের ভেতর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫.৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য চার কোটি ৪৬ লাখ টাকা। পণ্য চালান দুটিতে মিথ্যা ঘোষণায় ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি চালানে ছিল ১৬ হাজার ১১৭ দশমিক ৫ লিটার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ। ওই চালানের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় এক কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং জড়িত রাজস্ব প্রায় আট কোটি ৪৩ লাখ টাকা। 

কুমিল্লা ইপিজেডের হেশি টাইগার কোম্পানি লিমিটেডের নামে টেক্সটার্ড ইয়ান ঘোষণায় এবং একই দিন ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে রোভিং মেশিন ও ববিন ঘোষণায় চালান দুটি আনা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) সাইফুল হক বলেন, ‌‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় গত শুক্রবার রাত ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দরে মদভর্তি দুটি কনটেইনার খালাস হবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম অনুসন্ধান করে জানতে পারে, চালান দুটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বের হয়ে গেছে। এরপর কাভার্ডভ্যান নম্বর ট্র্যাকিং করে গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় গাড়ি দুটি সোনারগাঁ থেকে আটক করা হয়। এরপর নজরদারি বাড়ানো হয় বন্দরে থাকা অন্যান্য কনটেইনারে। পরপর আরও তিনটি কনটেইনার থেকে মদ উদ্ধার করা হয়। এরপর কনটেইনারে নজরদারি বাড়ানো হয়।’

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘একটি ঘটনা যখন ঘটে এরপর এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে এজন্য বন্দর এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আর কোনও পণ্যের চালান আছে কিনা তা আমরা তদারকি করছি। তবে কোনও কনটেইনার কিংবা কতটি কনটেইনার নজরদারিতে আছে, তা সুনির্দিষ্ট করে আমি বলতে পারবো না।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews