করোনায় চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে প্রায় এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। যার বেশিরভাগ শয্যায়ই হবে আইসিইউ এবং এইচডিইউ।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে চিঠি এসেছে। তারা জানিয়েছে আগস্ট মাসের শুরুতেই ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা বাংলাদেশকে দেওয়া হবে। এছাড়াও এ মাসের শেষের দিকে বা আগস্টের প্রথম দিকে চীন থেকে আরও ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। আমরা আশা করছি আগামী দেড় মাসের মধ্যে আমাদের হাতে এক থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা থাকবে। এছাড়াও আগস্ট মাসে আরও কিছু টিকা আসার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের ডাক্তার-নার্সরা গত দেড় বছর ধরে দিনরাত কাজ করছেন। অনেকেই মৃত্যুবরণ করছে। তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় করোনাকালে আরো চার হাজার নতুন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে বিএসএমএমইউ কনভেশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা কনভেনশন সেন্টার ও পুলিশ কনভেনশন সেন্টার হলসহ ঢাকার পাঁচটি স্থানকে করোনা ফিল্ড হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর ৫টি স্থানে ফিল্ড হাসপাতালকে আমরা বড় আকারে শুরু করবো। আশা করি, স্বল্প সময়ে মধ্যে এই হাসপাতালগুলো চালু হবে।