বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আওয়ামী সরকারের অপকর্ম আড়াল করতেই বিএনপি’র যেকোনও কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। লুটপাটের কাহিনী যাতে প্রকাশিত না হয়, এ জন্যই বিএনপি’র কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে পুলিশসহ আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী। জাতীয় তহবিল লোপাটের পর সেটি পূরণ করতে জনগণের কাছ থেকে টাকা নিঙড়ে নেওয়া হচ্ছে।’
সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘কারখানা বন্ধ হওয়া, কর্মসংস্থান কমে যাওয়া, খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী এই সরকার। আওয়ামী সহিংসতার দুষ্টচক্রে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানুষের মানবিক মর্যাদা তথা গণতান্ত্রিক অধিকার এখন ধুলায় লুটোপুটি করছে।’
রিজভী বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী নাৎসি সরকারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশনে অবতীর্ণ হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, ‘সোমবার সকালে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রচারপত্র বিলির সময় ঢাকার কেরানীগঞ্জে জিঞ্জিরা দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। আবদুল্লাহপুরে যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে তেঘরিয়া বিএনপি’র সভাপতি খোরশেদ মিয়াসহ অনেক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এছাড়া রাজেন্দ্রপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।’‘এখন নিপুন রায় চৌধুরীসহ ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ শতাধিক নেতাকর্মী বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন’,—বলেন রিজভী।তিনি আরও অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহের নির্ধারিত স্থানে প্রচারপত্র বিলির সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক বাধা দেয়।
সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ করেন। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক গণমাধ্যমকর্মী জানান, সকাল ১১টার আগে কর্মসূচি শুরু করে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা শেষ করেন নেতারা। এ সময় বিএনপিনেতা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।