বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারকরণের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে একত্রে কাজ করার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে ইরানের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যের অন্যতম অংশীদার। বাংলাদেশ ইরানে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করলেও এর পরিমাণ খুব বেশি নয়। আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে উভয় দেশেরই অনেক সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই ব্যাবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশ ও ইরান ওআইসির সদস্য। আবার উভয় দেশেই ডি-৮-এর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি ২০২২ সালে দুই দেশ দ্বৈত শুল্ক পরিহারেও চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ সময় দ্বৈত শুল্ক পরিহার চুক্তিটি অনুসমর্থন করার জন্য ইরানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।
উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইরানের পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধুপ্রতিম দেশ। উভয় দেশই প্রাচীনকাল থেকেই সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। এই সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণই লাভবান এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক সব সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ এগিয়ে যাওয়ায় প্রশংসা করেন ইরানি রাষ্ট্রদূত।