আফগানিস্তানের শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে বাংলাদেশে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ করেছে। তবে আমরা জানিয়েছি, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এখন আর শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে সোমবার আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছে বাংলাদেশ। এতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। দেশটি সার্কের সদস্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আফগানিস্তানের সরকার ও জনগণ সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে আফগানিস্তানের জনগণ নিজেরাই তাদের দেশ পুনর্নির্মাণ এবং ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশ খুশি মনে আফগানিস্তানের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
এছাড়া বিবৃতিতে বিবৃতিতে আফগানিস্তানের সব অংশীজনের প্রতি বিদেশি নাগরিকসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নীতি হলো- এই অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। সে অনুযায়ী আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে মার্কিন সেনাদের জন্য কাজ করা আফগান নাগরিকসহ কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তান থেকে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিমানকে প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।