সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রাউতারা এলাকার অস্থায়ী রিং বাঁধ ভেঙে দেওয়ায় সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর জেলার চলনবিল অধ্যুষিত আটটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ডুবে গেছে এসব উপজেলার ৪৫ হাজার হেক্টর জমি।
বানের পানিতে তলিয়ে গেছে বোনা আমন ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
শনিবার (৩ জুলাই) শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতারা স্লুইচ গেট এলাকায় এ বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
রোববার (৪ জুলাই) মুন্নাফ হোসেন, সৌরভ সরকার, সোহেল মোল্লা, আব্দুল আলীম, জোবায়ের হোসেন, তানভির রহমান, নিরব হোসেন, সাকিব হোসেন ও আবু সাইফ নামে স্থানীয় একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, এ অঞ্চলের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ৩০ আগে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী এ রিং বাঁধটি নির্মাণ করে। চলতি বছরের ২৮ জুন বাঁধের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বাঁধটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এবং পাহারা সরিয়ে নেয়। গত কয়েদিন ধরে যমুনা ও বড়াল নদীর পানি বাড়তে থাকে।
এ অবস্থায় শনিবার ভোরে স্থানীয় মাছ শিকারি ও নৌযান শ্রমিকরা তাদের সুবিধার্থে বাঁধটি কেটে দেয়। বাঁধ কেটে দেওয়ার মুহূর্তেই ২০০ মিটার এলাকা ধসে যায়। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। এর ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও নাটোর জেলার গুরুদাসপুর, সিংড়া এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বানের পানিতে এসব অঞ্চলের বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ইরি-বোরো ফসল রক্ষার্থে শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতারা স্লুইচ গেট সংলগ্ন লোহাইট অস্থায়ী রিং বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। ধান কাটা হয়ে যাওয়ায় পাহারা সরিয়ে নেওয়ায় স্থানীয়রা বাঁধটি কেটে দিয়েছে। আমরা ওখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে এ সমস্যাটি আর থাকবে না।