বরিশালে পোস্টার অপসারণকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তুমুল সংঘর্ষ ও ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনের আনসার সদস্য ও সিটি করপোরেশনের কর্মীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা ও গুলির জেরে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ শাখা বিকেল থেকে নগরীতে বিভিন্ন ব্যানার পোস্টার অপসারণের কাজ করে আসছিল। সন্ধ্যার দিকে বরিশাল সদর উপজেলা চত্বরে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের যে ব্যানার আছে সেগুলো অপসারণ করতে গেলে নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে সিটি করপোরেশনের সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় তারা ফিরে যায়।
পরবর্তীতে, সিটি করপোরেশনের কর্মীরা আবার ফিরে এলে নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বেরিয়ে আসেন। তখন তাদের মাঝে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে ইউএনওর নির্দেশে তার বাসভবনের সামনে থাকা আনসার সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে দুইজন আহত হয়।
গুলি ছোড়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে, সিটি মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, আনসার সদস্যরা সিটি মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে ও অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে, পুলিশ নির্বিচারে সেখানকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে বেশকয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় পুলিশ টহল চলছে।
বরিশাল কোতোয়ালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে জানান, আনসার সদস্যদের সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনে তারা সেখানে যান, এরপরই এই সংঘর্ষ বেঁধে যায়।