বরিশালে পোস্টার-ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি মিটমাট হয়ে যাবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
ওই ঘটনায় মেয়র বরখাস্ত হতে পারেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বরিশাল নগরীতে পোস্টার অপসারণ নিয়ে সেখানে ইউএনওর সঙ্গে মেয়রের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখন ইউএনও এবং থানার পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। এমনও হতে পারে তারা মামলা প্রত্যাহারও করতে পারেন। যে কোন সময়ে বিষয়টি দুই জনের মধ্যে মিটমাট হয়ে যাবে। এটি এমন পর্যায়ে যায়নি যে তাকে বরখাস্ত করতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মামলা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। বরখাস্ত করতে হলে সেখানে কারও বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হতে হবে। কারও বিরুদ্ধে মামলা হলেই যে তিনি বরখাস্ত হবেন তা কিন্তু না। আর আদালতে যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। তাকে বরখাস্ত করা হবে।’
এর আগে বুধবার (১৮ আগস্ট) বরিশালে পোস্টার-ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ-আনসার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ওসি ও প্যানেল মেয়রসহ সাত জন গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়াও ২৫ জন আহত হন।