গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ৬ মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও একরামুল হক টুটুল। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। গাজীপুরের স্থানীয় এক বাসিন্দার পক্ষে অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল রিট দায়ের করেন। দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
মেয়র জাহাঙ্গীরের দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও তিনি বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন।