বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে মানুষের স্বপ্ন পুড়ে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনও নাশকতা করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অগ্নিকাণ্ড নিয়েও রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আজিমপুর সরকারি কলোনি মাঠে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
পবিত্র রমজানে বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোজার দিনেও তিনশ’ স্থানে রাস্তা অবরোধ করে মানুষকে অতীতের মতো কষ্ট দিচ্ছে বিএনপি। যদি তারা রাস্তা বন্ধ করে এসব অবরোধ করে রোজাদারদের কষ্ট দেয়, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কোনও প্রকার বিশৃঙ্খলা, অগ্নিসন্ত্রাসের উসকানি দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি দেবে।’
বিএনপির ‘হাট ভেঙে গেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যতই চিৎকার করুক বিএনপির ভাঙা হাট আর জমবে না। বিএনপি হাঁটুভাঙা দল, আর দাঁড়াতে পারবে না। আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এই সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনাদের সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি কে? তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতো, ২০০৬ সালের মতো অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়। সেই তত্ত্বাবধায়ক বাংলার মানুষ চায় না। নষ্ট রাজনীতি বাদ দিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান।’
বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হলেও বিএনপি আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে, আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাকেই নির্বাচিত করবে। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল বন্ধ করতে হবে।’
লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ মানুষ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।