দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ১২ আগস্ট থেকে চালু হচ্ছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি খেয়াঘাট থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জামথল পথে যমুনা নদীতে ফেরি সার্ভিস।
১২ আগস্ট ফেরি সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সাংসদ মির্জা আজম উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। ফেরি সার্ভিস চালুর খবরে উচ্ছ্বসিত যমুনা নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর-৩ আসনের সাংসদ মির্জা আজম জানান, ফেরি সার্ভিস চালুর প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। আপাতত যমুনার দুই পারে কোনো ফেরিঘাট নির্মিত হচ্ছে না। যাত্রী ও ছোট গাড়ি পারাপারের মধ্য দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু হবে। শিগগিরই বড় যানবাহন পারাপার শুরু হবে। এ জন্য বগুড়া-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জামালপুর–মাদারগঞ্জ থেকে জামথল পর্যন্ত এলজিইডির ১২ ফুট সড়ক ২৪ ফুটে উন্নীত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, যমুনার এক পারে জামালপুরের মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও কাজলাঘাট আর অন্য পারে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ও মথুরাপাড়া নৌঘাটে নৌকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
স্থানীয়রা জানান, বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধের পর বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলার মানুষ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বদলে মাদারগঞ্জ হয়ে নৌকায় যমুনা পারাপারের পর বগুড়া হয়ে যাতায়াত শুরু করে।
উত্তরবঙ্গের লোকজনও সারিয়াকান্দির কালীতলা বা মথুরাপাড়াঘাট থেকে নৌকায় নদী পারাপার হয়ে ওপারের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছে। এ পথে চলাচলে নৌকা ভাড়া জনপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কালীতলাঘাট থেকে মাদারগঞ্জ যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে।
সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান জানান, সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ পথে ফেরি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের মানুষ বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় বাসে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারবে। পাশাপাশি যমুনা সেতুর ওপর চাপ কমবে। ফেরি চালু হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। যমুনায় ফেরি সার্ভিস চালুর খবরে যমুনার দুই পাড়ের মানুষদের মাঝে বইছে খুশির বন্যা।