বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আশঙ্কা করছি সরকারি নীলনকশায় পরিচালিত এই তথাকথিত বিচার প্রক্রিয়ায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘অতীতে খালেদা জিয়াসহ আমাদের অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে একই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এত কিছুর পরও দেশের মানুষ ন্যায়বিচার আশা করে। যদি অন্যায়ভাবে কোনও কিছু করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাবে।’
লিখিত বক্তব্যে ফখরুল উল্লেখ করেন, ‘চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দানকারী তরুণ প্রজন্মের তরুণ নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে—খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশকে পুনরায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালে ফিরিয়ে নেওয়া।’
‘গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে আমরা আশঙ্কা করছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সরকারি নীলনকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তো বা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এই মামলা চলার মতো কোনও আইনগত উপাদান নেই। কেননা, তারেক রহমান সাহেবের প্রদেয় সম্পদবিবরণী—যা ২০০৭ সালে জমা দেওয়া হয়েছিল, তার পুরোপুরিভাবে আয়কর জমা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর। ওই এফডিআর মামলা দায়েরের আগেই ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়া হয়েছিল।’
ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ আদালতে চলমান এই মামলায় অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সাক্ষ্য নিয়ে বুধবার (২ আগস্ট) রায় প্রচারের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশে লাখ লাখ মামলার জট থাকলেও তাদের এই মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রাত ৮টা-৯টা পর্যন্ত একতরফা সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচারকাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছেন। তাদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।’