1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৫:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ

পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে, খাবারের সমস্যা হবে না: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২
  • ৪৮

চল্লিশ লাখ লোক এখন পানিবন্দি উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে, সেখানে খাবারের সমস্যা হবে না। উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনীর ৩২টি, নৌ বাহিনীর ১২টি এবং ফায়ার সার্ভিসের ৪টি বোট কাজ করছে।

রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জে বন্যার অবনতি হয়েছে। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত বন্যার এই পরিস্থিতি থাকবে। মঙ্গলবার কমবে আশা করছি। তবে, পূর্বাঞ্চলের বন্যা কমলেও উত্তরাঞ্চলের বন্যা বাড়বে। এ পর্যন্ত ১২টি জেলার ৭০টি উপজেলায় বন্যা হচ্ছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো—রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার।

তিনি বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে এক লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জে ৭০ হাজার ও সিলেটে ৩০ হাজার মানুষ। আরও অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি। সেখানে সেনাবাহিনীর সহায়তায় জেলা প্রশাসনের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেটে সামান্য উন্নতি হলেও সুনামগঞ্জে বন্যাপরিস্থিতি ভয়াবহ। পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে তীব্র পানির স্রোত থাকায় বন্যার্তদের কাছে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। পানির স্রোতে পড়ে মারা গেছেন একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। অপরজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। সিলেট ও সুনামগঞ্জের দুই জেলায় এরই মধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বন্যার্তদের জন্য আরও ২০ কোটি টাকা দিয়েছেন। বন্যাকবলিত সব জেলায় ১০ লাখ টাকা ও ১০ হাজার প্যাকেট  শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

এসব সহায়তা পর্যাপ্ত কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরও বেশি ত্রাণ পৌঁছানো প্রয়োজন। জিআর  (দুর্যোগ ও আপৎকালে দেওয়া সহায়তার চাল বা জেনারেল রিলিফ) বরাদ্দ ও শুকনো খাবার পর্যাপ্ত মজুত আছে।

তিনি বলেন, পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বাধ দিয়ে এ পানি ঠেকানো যাবে না। এবং ঠেকানো উচিতও না। কারণ বন্যার এ পানি অনেক উঁচু হয়ে আসে। সে পর্যন্ত বাধ দেওয়া যায় না। তাছাড়া বন্যার পানি নেমে গেলে পর্যাপ্ত পলি রেখে যায়। এই পলি ফসল উৎপাদনে সহায়ক।

৩ দিনে ২৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বৃষ্টির পানি যুক্ত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ১২২ বছরে এরকম বন্যা এখানে হয়নি। ফলে এরকম পরিস্থিতিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল না।

এবারের বন্যার বিষয়ে আগাম জানা থাকলেও বৃষ্টি অনেক হওয়ায় এত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সরকারের উদ্যোগে অনেক ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews