ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে ডিবি থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিমে পদায়ন করা হয়েছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে তার ডিবির সকল দায়িত্ব থেকে নিবৃত্ত করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিমে পদায়ন করা হয়েছে।’
এর আগে এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে ডিবির সব দায়িত্ব থেকে নিবৃত্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে ডিবির সব দায়িত্ব থেকে নিবৃত্ত করা হয়েছে। তবে এখনই তাকে প্রত্যাহার করা হয়নি। তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি পুলিশ সদরদফতর থেকে অফিসিয়ালি সিদ্ধান্তের পর জানানো হবে।’
এর আগে দুপুরে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘নায়িকা পরীমনির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ ওঠায় গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে ডিবি থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
এর আগে সকালে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সিআইডি।’
তিনি বলেন, ‘৬ আগস্ট আমরা মামলার ডকেট বুঝে পেয়েছি, আসামির হেফাজতও বুঝে পেয়েছি। আসামিদের মধ্যে পরীমনি, মডেল মৌ, পিয়াসা ও নজরুল ইসলাম রাজ বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে। হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান বর্তমানে আমাদের হেফাজতে নেই। তারা অন্য মামলার তদন্তে ডিএমপির হেফাজতে।’
পরীমনি এখন আসামি। এর আগে অন্য একটা মামলায় তিনি বাদী ছিলেন। ঘটনাক্রমে একজন মামলার বাদীর সঙ্গে মামলার সুপারভাইজারের (তত্ত্বাবধায়ক) অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ তদন্তে উঠে আসবে কি-না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘অবশ্যই উঠে আসবে। আমরা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করব। সেই কারণে মামলা এবং আসামি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যম ও গণমাধ্যমে যা প্রকাশ পাবে, সে বিষয়গুলোও তদন্তের সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘সবেমাত্র আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সুতরাং এ মুহূর্তে আমাদের পক্ষ থেকে বেশিকিছু বলা মুশকিল। সিআইডিতে যেকোনো তদন্তই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করা হয়।’
‘আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, কেমিক্যাল ল্যাব, ডিএনএ ল্যাব ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এজন্য তদন্ত কার্যক্রমে আমাদের সময় লাগবে। ইতোমধ্যে সিআইডির হেফাজতে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে’ যোগ করেন তিনি।
পরীমনির অপর্কমের অভিযোগগুলোর সঙ্গে প্রভাবশালীরাও জড়িত, এ প্রসঙ্গে শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘অবশ্যই, যদি প্রভাবশালী কেউ জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন।’