আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোনো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে না। আমাদের নেত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। বরং সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবেন।’
শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলে ওবায়দুল কাদের। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ইফতারের আয়োজন না করে পার্টির পক্ষ থেকে, যারা কষ্টে আছেন, যারা গরিব মানুষ তাদের হাতে খাবার তুলে দেবো।’ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এবারের রমজানে গণভবনে কোনো ইফতার পার্টির আয়োজন করবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগতভাবেও এবার সাদামাটা ইফতার করবেন তিনি। সরকারের ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে হাসান জাহিদ তুষার জানান, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী যে সাশ্রয়নীতি অবলম্বন করেছেন, ব্যক্তিগত জীবনেও সেটারই প্রয়োগের অংশ হিসেবে তিনি এবার কোনো ধরনের ইফতার পার্টি করবেন না। ইফতারে সংযম ও ব্যয় সংকোচন করবেন।