দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পড়ে থাকা কয়েকটি কোম্পানির ১২টি উড়োজাহাজ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান জানান, এই উড়োজাহাজগুলোর মালিকানা সংস্থার কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আবার স্থান দখল করে রাখায় বিমানবন্দরের কাজেও সমস্যা হচ্ছে। তাই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ ইউড়োজাহাজগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার বলেন, “এই উড়োজাহাজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে বিমানবন্দরে পড়ে আছে এবং বহু আগেই তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে।
“এছাড়াও বহু বছরের বকেয়া জমে গেছে এবং পড়ে থাকার কারণে কার্গো অপারেশনে যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলোতে একাধিকবার চিঠি দিলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান তিনি।
তৌহিদ বলেন, “সেজন্যই উড়োজাহাজগুলো বেবিচকের আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে সেগুলো যথাযথ আইন অনুযায়ী নিলামে তোলা হবে।”
বিমানবন্দর কর্মকর্তারা জানান, এই ১২টি উড়োজাহাজের মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি করে উড়োজাহাজ রয়েছে।
এই বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে জিএমজি এয়ারলাইন্স প্রায় এক দশক ধরে বন্ধ। ইউনাইটেডের বিমান উড়ছে না কয়েক বছর ধরে। মহামারী শুরুর পর থেকে রিজেন্টের ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ।
এই ১২টি প্লেনের পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ এসব বিমান মালিকদের কাছ থেকে কয়েকশ কোটি টাকার পাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।