1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ১১৯

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফিরলেন ঠিকই। কিন্তু ত্রিদেশীয় সিরিজে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা মিললো না। প্রথম ম্যাচ হারের পর স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছেও ৮ উইকেটে হেরেছে। তাতে পরাজয়ের বৃত্তে বন্দি সাকিবের দল।  

১৩৮ রান তাড়ায় চতুর্থ ওভারে ফিন অ্যালেনের উইকেট তুলে নিতে পারলেও বাংলাদেশ পরে বল হাতে প্রভাব রাখতে পারেনি। কনওয়ের অপরাজিত ৭০ রানে ভর করে দলটি ১৭.৫ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে।  

মূলত নিউজিল্যান্ডকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন ডেভন কনওয়ে ও কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাদের জুটিতেই গড়া হয়ে যায় জয়ের ভিত। ৮৫ রানের জুটিটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ১৫তম ওভারের শেষ বলে উইলিয়ামসনকে সহজ ক্যাচে পরিণত করেন হাসান। কিউই অধিনায়ক ২৯ বলে ১টি চারে ৩০ রানে ফিরেছেন।

তার পর গ্লেন ফিলিপস ও কনওয়ে মিলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ফিলিপস ৯ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ রান করে জয়টা আরও তরান্বিত করেছেন। ম্যাচ জয়ের নায়ক কনওয়ে ৫১ বলে অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। তাতে ছিল ৭টি চার ও ১ ছক্কার মার।    

চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট পড়লেও ফিফটি প্লাস রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়তে থাকে কনওয়ে-উইলিয়ামসন জুটি। কনওয়ে তো পঞ্চম ফিফটিও তুলে নিয়েছেন। তাতে ১৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডে জমা হয় এক উইকেটে ১০০ রান।  

নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান নিতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিউইরা ১ উইকেটের বিনিময়ে ৪০ রান তুলতে পেরেছে। শুরুর ওভারে ১০ রান দিলেও তাসকিন ষষ্ঠ ওভারে দেন মাত্র ৪ রান।   

১৩৮ রানের লক্ষ্যে শুরুটা দেখে শুনেই করে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩ ওভারে আসে ১৫ রান। তাসকিন শুরুর ওভারে খরুচে থাকলেও পরের দুই ওভারে রান আটকেছেন শরিফুল-হাসান মাহমুদ। 

চতুর্থ ওভারে ফিন অ্যালেন শরিফুলের বলে হাত খুলতে গিয়েই বিপদ ডেনে আনেন। চতুর্থ বলে ছয় মারার পর শেষ বলে ক্যাচ তুলে দেন বাউন্ডারি লাইনে। তার ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক। বিদায় নেওয়ার আগে ফিন ১৮ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করতে পেরেছেন। 

ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও আহামরি ব্যাটিং প্রদর্শনী ছিল না বাংলাদেশের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করতে পেরেছে ১৩৭ রান।   

মিরাজ দ্রুত ফিরলে শান্ত ৪১ রান যোগ করেন লিটন দাসকে নিয়ে। এই দুজনের বিদায়ে বাংলাদেশ আর আগের ছন্দে থাকতে পারেনি। শান্ত সর্বোচ্চ ৩৩ রানে ফিরেছেন। মাঝে আফিফ ২৬ বলে করতে পেরেছেন ২৪ রান। সাকিব সাতে নেমেও ১৬ বলে করেন ১৬। শেষটা অবশ্য হতশ্রী হতো যদি না নুরুল হাসান সোহান ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলতেন। তাতে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান জমা হয়েছে স্কোরবোর্ডে।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও গ্লেন ফিলিপস। 

১৮তম ওভারে সাকিব ফিরতেই স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১১০ রান। শেষ মুহূর্তে স্কোরবোর্ডে শ্রী ফেরাতে অবদান রাখেন সোহান। সোধিকে টানা দুই ছক্কা মেরে। তাতে স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১২৮। শেষ ওভারেও বাউন্ডারি মারায় তার ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত দলের জন্য হয়ে দাঁড়ায় কার্যকরী। এই ওভারে তাসকিন বিদায় নিলেও নুরুল হাসান ৯ রান যোগ করতে পেরেছেন। 

দলের বিপদে সাতে নেমেও তেমন কোনও প্রভাব রাখতে পারলেন না। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৬ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন। সাউদির স্লোয়ারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। 

ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৮ রান। ক্রিজে আছেন নুরুল হাসান (১৮) ও তাসকিন (৩)।

খেই হারানো ইনিংসে আফিফ হোসেনও বেশি কিছু করতে পারেননি। দলের স্কোর একশো ছাড়াতেই তাকে থামান ট্রেন্ট বোল্ট। একবার জীবন পেয়ে আফিফ ২৬ বলে ২৪ রান করতে পেরেছেন। তাকে ফুলার লেংথের বলে বোল্ড করেন বোল্ট।  

ভ্রমণ ক্লান্তিতে প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরেছেন সাকিব। কিন্তু খেলতে নামলেন সাত নম্বরে। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো সাতে নামলেন তিনি।

মোসাদ্দেক ফেরার পর ইয়াসির-আফিফ মিলে কিছু রান যোগ করতে পেরেছিলেন স্কোরবোর্ডে। কিন্তু খেই হারানো ইনিংসটা আর দিশা ফিরে পেলে তো? ইয়াসির ৯ বলে ৭ রান করে বিপদই বাড়িয়ে গেছেন। ব্রেসওয়েলের বলে মিলনেকে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন।   

লিটন-শান্ত ফিরতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের। সোধির ১১তম ওভারে আফিফের ক্যাচ ফেলে দেন মিলনে। তার পরের বলে অবশ্য ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মোসাদ্দেক। ৪ বলে মাত্র দুই রান করা মোসাদ্দেক ক্যাচ তুলে দেন শর্ট মিডউইকেটে। 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর বাংলাদেশের শুরুটা আহামরি হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই মিরাজ সাজঘরে ফিরেছেন। তার পর লিটন-শান্ত মিলে দারুণ জুটিতে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করলেও বেশি লম্বা হয়নি তাদের ইনিংস। তাদের বিদায়ে ছন্দ পতন ঘটে ইনিংসের। 

মিরাজ ফিরে গেলে একপ্রান্ত আগলে কিছুটা আগ্রাসী ভঙ্গিতেই শান্ত খেলেছেন। সাব্বিরের বদলে নেমে চেষ্টা করছিলেন। লিটনের সঙ্গে গড়েন ভালো জুটি। লিটনের বিদায়ে জুটি ভাঙতেই পরের ওভারে তিনিও ফিরে গেছেন। সোধিকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে তালুবন্দি হয়েছেন ৩৩ রানে। তার ২৯ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার।    

প্রথম উইকেট পতনের পর লিটন-শান্ত মিলে ইনিংস সামাল দিচ্ছিলেন। ভালো জুটিও হয়ে যাচ্ছিল দুজনের। কিন্তু লিটনকে ফিরিয়ে দারুণ জুটিটি ভেঙেছেন ব্রেসওয়েল। 

তাদের জুটিতে যোগ হয়েছে ৪১ রান। সপ্তম ওভারে তারা যোগ করে ১২ রান। অষ্টম ওভারে এসে সাফল্য পান অফস্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল। সফট ডিসমিসালে তাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে লিটন ১৫ রানে ফিরেছেন। তার ইনিংসে ছিল দুটি চার। 

পঞ্চম ওভারটা ভালোই সামাল দিয়েছিলেন অ্যাডাম মিলনে। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আসে মাত্র ৪ রান। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারটা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পেরেছে। শান্ত-লিটন মিলে যোগ করেন ১১ রান। তাতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে এক উইকেটে ৪১ রান।  

তখনও রানের খাতা খোলা হয়নি। কিন্তু বোল্টের তৃতীয় ওভারের শেষ ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। ভাগ্য ভালো যে, নিশাম ক্যাচ হাতে নিয়েও তা তালুতে জমাতে পারেননি।    

যে ওপেনিং জুটি নিয়ে এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা তা আবারও ব্যর্থ। ১.৪ ওভারেই ক্যাচ তুলে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। 

সাউদির ওভারের দ্বিতীয় বলেও মিরাজের ক্যাচ উঠেছিল। কিন্তু ফিল্ডার বিভ্রান্ত হওয়ায় তা লুফে নিতে পারেননি। চতুর্থ বলে মিরাজ সাধারণ একটি ক্যাচ তুলে ৫ রানে ফিরেছেন। 

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হারের পর রবিবার স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড।  

বাংলাদেশ যে এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, সেটি জোর দিয়েও বলা যাচ্ছে না। দুই দলের সাত টি-টোয়েন্টিতে একটিতেও জয়ের দেখা নেই লাল-সবুজদের। তবে আশার কথা প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারা সাকিব আল হাসান এই ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন। 

আগের ম্যাচ থেকে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে এই ম্যাচে। বাদ পড়েছেন নাসুম, সাব্বির ও মোস্তাফিজ। তাদের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন সাকিব, শান্ত ও শরিফুল।

নিউজিল্যান্ড দলে পরিবর্তন একটি। ব্লেয়ার টিকনারের বদলে একাদশে এসেছেন পেসার অ্যাডাম মিলনে। 

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত। 

ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে (উইকেটকিপার), কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, জেমস নিশাম, মাইকেল ব্রেসওয়েল, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি, টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।   

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews