‘করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে জেলা প্রশাসনের সাথে একত্রে কাজ করতে পেরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আনন্দিত ও গর্বিত’ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ম পদাতিক ডিভিশন এর জিওসি মেজর জেনারেল শাহীনুল হক।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহীনুল হক বলেন, ‘‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জেলা প্রশাসনের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সুপার ইম্পোজ এর আওতায় কাজ করতে চান। নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রাইম স্পট হিসেবে যে ১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে তারা সেখানে ভিজিলেন্স থাকবেন।
একই জায়গায় একাধিক বাহিনীকে দায়িত্ব প্রদান না করার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
মেজর জেনারেল শাহীনুল হক আরও বলেন, গত সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ২৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনকে যেকোনো সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত – বক্তব্যে উল্লেখ করেন এ সেনা কর্মকর্তা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম, লে. কর্ণেল মুহিব্বুল হাসান, লে. কর্ণেল মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, বিজিবি-৬২ নারায়ণগঞ্জ’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল আল আমিন, র্যাব- ১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারী প্রমুখ।
পরে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতনেরা চাষাঢ়া এলাকায় এসে টহলে থাকা সেনা সদস্যদের ব্রিফ দিয়ে যান।
প্রসঙ্গত করোনা ভাইরাসজহনিত রোগের বিস্তার রোধকল্পে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জারিকৃত সবশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে গত ১ জুলাই হতে আমি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার বিধানের আওতায় তিনটি পেট্রোল নিয়মিত কাজ করছে। এর মধ্যে একটি পেট্রোল রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলায়, একটি পেট্রোল সোনারগাঁও ও বন্দর উপজেলা ও একটি পেট্রোল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় জেলা প্রশাসনের সাথে নিয়মিত কাজ করছে।