বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তারা জেলার কাঁচপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড় সড়ক অবরোধ করলে পণ্যবাহী যানসহ সব গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে জট লেগে যায়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে ওই কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। সড়ক ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানালেও তারা সরেনি। পুলিশ চেষ্টা করছে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সরিয়ে দিতে।”
শ্রমিকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেতনের বদলে নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন তারা। পরে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
নোটিশে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, “আপনাদের কষ্টের কারণে আমরা দুঃখিত। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে আগামী ১২ জুলাই মে মাসের মজুরি/বেতন পরিশোধ করব এবং ঈদুল আজহার বোনাস ও জুন মাসের মজুরি/বেতন আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। আপনাদের ধৈর্য ও সহযোগিতার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।”
এ বিষয়ে ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন) মো. তোহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নোটিশের বাইরে কোনো কথা বলতে চাননি।
তোহা বলেন, “এখানে প্রশাসনের লোকজন আছেন। ইউএনও আছেন। পুলিশ আছে। তারা দেখছেন। আমাদের বক্তব্য আমরা নোটিশে বলেছি।”
ব্যাংক ঋণের দায়, অ্যাকর্ড-এলায়েন্সের নিরাপত্তা সনদ, শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন কারণে সঙ্কটের মুখে রয়েছে আশির দশকের বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ এই পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
এরই মধ্যে গত ৭ জুন প্রায় ১০০ কোটি টাকা বকেয়া আদায় করতে না পেরে ওই কারখানার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার পুনরায় গ্যাস সংযোগ দেয় তারা।
তিতাসের সোনারগাঁ জোনের ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মালিকপক্ষ কিস্তিতে তিতাসের বকেয়া বিল পরিশোধের অঙ্গীকার করায় জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় সংযোগ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গত শুক্রবার সংযোগ দেওয়া হয়।