পহেলা ফাল্গুন বাংলা পঞ্জিকার একাদশতম মাসের প্রথম দিন। শীতের শেষে অরেণ্যের অগ্নিশিখা পলাশে আগমনী বার্তা পাঠালেও পহেলা ফাল্গুনে আসে ঋতুরাজ বসন্ত।
পাতাঝরা বৃক্ষে একটু একটু ডানা মেলছে নতুন পাতা। বসন্তের আগমনীতে শুধু প্রকৃতি নয়, শীতের জড়তা ভেঙে মানুষও সেজে উঠে প্রকৃতির সঙ্গে। তাই তো কবি বলেছেন, ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত’।
ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রংতুলির আঁচরে শেষ হয় না। তবুও বসন্তবন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না।
পহেলা ফাল্গুন বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমনকি হিন্দুদের পৌরাণিক উপাখ্যান ও লোককথাগুলোতে এই উৎসবের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি চলে আসছে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্যদিয়েই বসন্তকে বরণ করে নিতে নগরে বিভিন্ন সংগঠন পালন করছে নানা অনুষ্ঠানের।
নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে বোধন আবৃত্তি পরিষদ ও বোধন আবৃত্তি স্কুল ‘নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এলো প্রাণে’ শিরোনামে বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করে। এর মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, আবৃত্তি, সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্য ও ঢোল বাদন।
এছাড়া সিআরবির শিষিষতলার মুক্তমঞ্চ সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রমার বসন্ত উৎসব।
এদিকে শেখ রাসেল পার্কেও বোধন আবৃত্তি পরিষদ, চট্টগ্রাম বসন্তবরণে আয়োজন করেছে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার। একক ও বৃন্দ আবৃত্তির পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের শিল্পীদের পরিবেশনায় দলীয় সংগীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করা হচ্ছে। এছাড়া রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনিক ও লোকগান পরিবেশন করবেন প্রথিতযশা সংগীতশিল্পীরা।