1. admin@ultimatenewsbd.com : adminsr : Admin Admin
  2. afridhasan.ahb@gmail.com : Shah Imon : Shah Imon
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসি থেকে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে বিল পাস আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার দুর্গাপূজায় মণ্ডপ আর না বাড়ানোর অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রংপুরে ১২৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হতে পারে তারেক-জোবাইদাকে, আশঙ্কা বিএনপির বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেবো না, তবে জনগণের ক্ষতি করলে রেহাই নয়: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল সংসদে

দেশের বিরুদ্ধে চিঠিদাতাদের বিচার হওয়া উচিত: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ultimatenewsbd.com
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১১৩

দেশের বিরুদ্ধে চিঠিদাতাদের বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে, দেশকে সাহায্য দিতে নিষেধ করে, সাহায্য দিলেও সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বিদেশে চিঠি দেওয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবের বিচার হওয়া উচিত, বিএনপিও বিচার হওয়া উচিত।’

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি)) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও দেশবিরোধী অপপ্রচারের অংশ হিসেবে, দেশের রফতানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য, অর্থাৎ বিদেশের কাছে দেশকে হেয় করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এই অভিযোগ যখন আমরা উপস্থাপন করলাম তখন বিএনপি প্রথমে অস্বীকার করেছিল। মির্জা ফখরুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, তিনি কোনও চিঠি দেননি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরে যখন আমরা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুল সাহেবের সই করা চিঠি এবং সেই চিঠিতে তিনি বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করার যে কথা বলেছেন এবং একইসঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে তারা যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, সেই দলিল-দস্তাবেজ গণমাধ্যমে উপস্থাপন করলাম, তখন তারা নিশ্চুপ হয়ে চুপসে গেলেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের অপকর্ম দেশের মানুষের কাছে যখন উন্মোচিত হলো, তখন তাদের আর কোনও জবাব নেই। সেজন্য তারা এখন নানা প্রশ্ন উপস্থাপন করার চেষ্টা করবে, তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য নানা কথা বলবে, এটি খুবই স্বাভাবিক।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সরকার নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য, রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য, পিআর অথবা লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বলা হয়েছে—আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি। এগুলো করার কারণেই আমাদের রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, করোনার মধ্যেও রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এত কিছুর মাঝেও আমাদের রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার যা করে, আমরা তা-ই করেছি এবং সেগুলো ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ সরকারি চুক্তি। সুতরাং এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।’’

‘বিএনপি মহাসচিব দেশকে সাহায্য দেওয়া বন্ধের জন্য যে চিঠি লিখেছেন, এটি যদি ইউরোপের কোনও দেশ হতো তাহলে মির্জা ফখরুল সাহেব এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হতো এবং তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন এবং তার বিচার হতো’, বলেন হাছান মাহমুদ।

করোনার টিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যেভাবে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন, এটি বহু উন্নয়নশীল দেশ করতে পারেনি। যে ভাসমান জনগোষ্ঠী, বস্তিবাসী এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা টিকা পাচ্ছেন, তারা ধারণাই করেনি যে সরকার এভাবে টিকা দেবে। সরকার খুঁজে খুঁজে বের করে মানুষকে টিকা দিচ্ছে। এটি বহু দেশ করতে পারেনি।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যে আজকে ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দিয়েছে, দ্বিতীয় ডোজসহ ১৬ কোটির বেশি মানুষ টিকা পেয়েছে, আর বুস্টার ডোজসহ আরও বেশি—এ অবস্থায় টিকা নিয়ে আগে যারা সমালোচনা করেছিলেন, পরে টিকা নিয়েছিলেন এবং পরে বুস্টার ডোজও নিয়েছেন, তাদের অনুরোধ জানাবো, এখন কিছু বলার জন্য।’

ইসি সার্চ কমিটির বিষয়ে বিএনপির মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে এবং সেখানে দুজন বাদে বাকিরা সবাই সাংবিধানিক পদধারী। সাংবিধানিক পদধারীরা কোনও দলের নয়, সরকারেরও নয়। কারণ, রাষ্ট্রপতি কিংবা সরকার তাদের সরাতে পারবে না, সেটির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। আর সুশীল সমাজের দুজন অত্যন্ত নিরপেক্ষ এবং শ্রদ্ধেয় মানুষ হিসেবে সুপরিচিত। সুতরাং, এই সার্চ কমিটি নিয়ে আসলে বিরূপ মন্তব্যের কোনও সুযোগ নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব বলছেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। কিন্তু নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচনকালে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়ে যায়। সুতরাং, সার্চ কমিটি কীভাবে গঠিত হলো, কী করলো, সেটি তাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। সবকিছুতেই ‘না’ বলার বাতিক থেকে বিএনপি যদি বের হতে না পারে, বিএনপি যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি জানি না, ভবিষ্যৎ সেটি বলে দেবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে মূল বিষয় হচ্ছে বিএনপির তো জনগণের ওপর কোনও আস্থা নেই, সেজন্য সবকিছুতেই না বলার পদ্ধতি তারা অব্যাহত রেখেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জল ঘোলা করে কোনও কিছু করা যায় কিনা। সেই চেষ্টাই তারা করে যাচ্ছে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© আল্টিমেট কমিউনিকেশন লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান   ***চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম***
Theme Customized BY LatestNews