আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই দলের তৃণমূলে ত্যাগী, গ্রহণযোগ্য নেতাদের নেতৃত্বে আনার তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি দলের অপকর্মে যুক্ত ও অনুপ্রবেশকারী নেতাদের বাদ দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের।  

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সভায় এ নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে দলের নেতাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন সামনে রেখে দল গোছানোর কাজও শুরুর তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারির পর তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু করতে হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের আগাছা উপড়ে ফেলতে হবে। পুরনো ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে এবারের সম্মেলনে।

সভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে আশা করি জনগণ আমাদের ভোট দেবে কারণ একটা দেশকে আমরা বদলে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে; জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা সংকটে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আমরা স্থিতিশীল রেখেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯৪ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ২৫৯১ মার্কিন ডলার।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আজকে আমরা ক্ষমতায় বলে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। দেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না; শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন, সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পাওয়া নতুন তিন সদস্য- মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খায়রুজ্জামান লিটন, কামরুল ইসলাম। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমানও বক্তব্য রাখেন।